Local Community & Environment
স্থানীয় সমাজ এবং পরিবেশ
ক্রমবর্ধমান ঢাকা মহানগরের অন্যতম পরিকল্পিত নগরায়ন প্রকল্প উত্তরা মডেল টাউন, যা বর্তমান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত একটি অঞ্চল। ঢাকার অন্যান্য স্বনামধন্য এলাকা যেমন গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, মহাখালি, মোহাম্মাদপুর, বসুন্ধরার মতো উত্তরা একটি জনপ্রীয় এলাকা যেখানে আবাসিক বাসভবন, কর্মাশিয়াল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, শপিং মল, হোটেল-রেষ্টুরেন্ট, স্কুল-কলেজ উল্লেখযোগ্য পরিমানে বিদ্যমান। ঢাকা হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর হতে টঙ্গী তুরাগ নদী পর্যন্ত ১৪.২৫ স্কয়ার মাইল ব্যপী বিস্তৃত এই এলাকা এবং সড়কপথে উত্তরাকে ঢাকা শহরের অন্যতম প্রবেশ দ্বার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০১১ইং এর জরিপ মোতাবেক উত্তরার জনসংখ্যা ছিল ৩,৪৫,০৯৭ জন।
ভৌগলিকভাবে উত্তরাতে রয়েছে প্রচুর সবুজের সমারোহ এবং এর ভিতরে একাধিক প্রাকৃতিক জলাভুমি রয়েছে। প্রতি বছর গ্রীষ্ম মৌসুমে হালকা ও মাঝারি মাপের খরা, বর্ষা মৌষুমে যথেষ্ট পরিমানে বৃষ্টিপাত এবং শীতকালে হালকা থেকে হাড় কাঁপানো শীতের আবহাওয়া বিরাজ করে। উত্তরায় এই মসজিদটি ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ২কি.মি দূরত্বে অবস্থিত এবং ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে এর দূরত্ব ১.৫কি.মি। মসজিদ থেকে উত্তরা পূর্ব থানার দূরত্ব পায়ে হেঁটে কয়েক মিনিটের পথ। উত্তরার প্রতিটি সেক্টরে আলাদা আলাদা মসজিদ রয়েছে এবং এর পাশাপাশি উত্তরার প্রাণকেন্দ্র আজমপুরস্থ ৬ নং সেক্টরে সমগ্র উত্তরাবাসীর জন্য স্থাপিত হয় এই মসজিদ ‘উত্তরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও ঈদগাহ’। মসজিদটির অন্যতম সতন্ত্র বৈশিষ্ট হলো ঢাকা-মনমনসিংহ ৮ লেন হাইওয়ের পাশ্ববর্তী অবস্থান এবং রাজউক এর মাধ্যমে ঈদগাহ মাঠসহ মসজিদের জন্য বৃহৎ স্থান (৮২ কাঠা) বরাদ্দ পাওয়া। মসজিদের পূর্ব ও দক্ষিণ পাশে দুটি বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ ও আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ) অবস্থিত যেখানে কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করে এবং মসজিদের উত্তর পাশে একটি বড় বাজার (বি.ডি.আর বাজার) অবস্থিত যেখানে উত্তরার কয়েকটি সেক্টরের মানুষজন দৈনন্দিন বাজার-সদাই করতে আসেন।
উত্তরাতে সমাজের শিক্ষিত, উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষজনের বসবাস। উচ্চপদস্থ সরকারী-বেসরকারী চাকুরিজীবি ও সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী ব্যক্তিবর্গের পদচারনায় মুখরিত উত্তরার এই অঞ্চল। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা হওয়ার কারনে ধর্মপ্রাণ অনেক মানুষ ইসলামী মূল্যবোধ মনে প্রাণে ধারন করে চলেন এবং সকলেই ইসলামি জীবনযাপনে সচেষ্ট। মুসলিম ও অমুসলিমদের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান লক্ষ্য করা যায় এখানে। সকল বয়সী বালক, যুবক, বৃদ্ধ এমনকি মহিলাদেরও মসজিদে উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সাধারনত মসজিদে প্রতি নামাজের ওয়াক্তে ৪০০-৫০০ মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় এবং জুমআর দিন ৪০০০-৫০০০ মুসল্লীর সমাগম হয় বর্তমানে। মসজিদ কেন্দ্রিক বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড এখানে পরিচালিত হয়। মসজিদ কমিটিতে সমাজের সুপরিচিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গ সম্পৃক্ত আছেন যারা মসজিদ কর্মকান্ড পরিচালনা ও উন্নয়নের বিষয়ে সদা তৎপর ভুমিকা পালন করে আসছেন।